৯ জুলাই, ২০২৪ ১৪:৪৪ পি এম
কবি আসাদ বিন হাফিজ চলে গেছেন। কিন্তু তিনি তাঁর লেখনীর মধ্য দিয়েই সবার মাঝে বেঁচে থাকবেন। বাংলা সাহিত্যে তিনি প্রায় ১০ হাজার কবিতা লিখেছেন, তা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে জানান বিশিষ্টজনেরা। গত ৮ জুলাই সোমবার জুম অনলাইনে এক স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। জাতীয় সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠন দেশীয় সাংস্কৃতিক সংসদ এ স্মরণসভার আয়োজন করে।
দেশীয়’র সভাপতি বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও সংগঠক ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ-এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবিতা বাংলাদেশ-এর সভাপতি, একুশে পদকপ্রাপ্ত বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি আল মুজাহিদী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কবি ও সম্পাদক মোশাররফ হোসেন খান, বাংলাদেশ সঙ্গীত কেন্দ্রের সভাপতি গীতিকার ও সুরকার তাফাজ্জল হোসাইন খান, শিল্পী ও সংগঠক সাইফুল্লাহ মানছুর, বাংলাদেশ চারুশিল্পী পরিষদের সভাপতি কার্টুনিস্ট ইব্রাহিম মণ্ডল, কবি হাসান আলীম, কবি নাসির হেলাল, কবিতা বাংলাদেশের সেক্রেটারি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ, টিভি ব্যক্তিত্ব শরীফ বায়জীদ মাহমুদ, কবি ও সাংবাদিক জাকির আবু জাফর, গীতিকার আবু তাহের বেলাল ও সসাসের নির্বাহী পরিচালক আহমদ তাওফীক।
বক্তারা বলেন, কবি আসাদ বিন হাফিজ নেই কিন্তু তিনি আছেন তাঁর লেখার মধ্য দিয়ে। বাংলা কবিতায় তিনি যে বিপ্লবী ঝড় তুলেছিলেন, তা আমাদের মনে আজীবন গেঁথে থাকবে। সৃষ্টি ও স্রষ্টার প্রতি ভালোবাসা, গভীর জীবনবোধ ও মানবপ্রেম তাঁর কবিতার পরতে পরতে বিধৃত হয়েছে।’
দেশীয়’র সেক্রেটারি ড. মোস্তফা মনোয়ারের সঞ্চালনায় ক্বারী আব্দুল আলিম আশিকের কণ্ঠে কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। উক্ত সভায় মরহুম কবি আসাদ বিন হাফিজ পরিবারের পক্ষে কথা বলেন তাঁর সহধর্মিণী বিশিষ্ট লেখিকা কামরুন্নেসা মাকসুদা। কবির লেখা গান ‘বিসমিল্লাহ বলো বিসমিল্লাহ’ পরিবেশন করেন সাইমুমের শিশুশিল্পী তাসনীম ফারহান মাহীর, ‘নাই নাই নাইরে বুঝি সবই শূন্য ঘর’ দলীয় গান পরিবেশন করেন সাইমুমের শিল্পীরা। এছাড়া ‘একটি অনিবার্য বিপ্লবের ইশতেহার’ ও ‘অবশেষে দেশপ্রেমিকরাই জয়ী হয়’ কবিতা দুটি আবৃত্তি করেন যথাক্রমে আবৃত্তিকার মোস্তাগিছুর রহমান ও মাহবুব মুকুল।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দেশীয়’র অফিস সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, দাওয়াহ ও শিল্পীকল্যাণ সম্পাদক রফিকুল হায়দার, সাহিত্য সম্পাদক ইয়াসিন মাহমুদ, মিডিয়া সম্পাদক সালমান রিয়াজ, নাট্য সম্পাদক এএসএম মুয়াজ্জাম হুসাইন, সঙ্গীত সম্পাদক নাসির উদ্দীন আল-মামুন, সহকারী মিডিয়া সম্পাদক মেহেদী হাসান, সারাদেশের সাহিত্য-সাংস্কৃতিক শাখার কর্মী-শিল্পীরা।