১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১১:০০ এএম
বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র বাংলাদেশের একটি সামাজিক সংগঠন যার মূল লক্ষ্য কিশোর ও যুব সমাজকে আলোকিত মানুষ হিসাবে গড়ে তোলা। এই সংগঠনের মূল কৌশল হলো গ্রন্থপাঠের মাধ্যমে তরুণদের সঠিক পথে পরিচালিত করা। আলোকিত মানুষ চাই শ্লোগানের উপর ভিত্তি করে সংগঠনটি বাংলাদেশে বই পড়া ও সৎ চিন্তা বিকাশ ঘটানোর জন্য কাজ করে থাকে। এর মূল কার্যালয় ঢাকার বাংলামটর এলাকায় অবস্থিত। এছাড়া দেশব্যাপী এর শাখা রয়েছে।
১৭ ডিসেম্বর ১৯৭৮। ঢাকা কলেজের পেছনে শিক্ষা সম্প্রসারণ কেন্দ্রের (এখনকার নায়েম) ছোট্ট মিলনায়তনটিতে শুরু হল একটি ছোট্ট পাঠচক্র। সভ্যসংখ্যা মাত্র পনেরো। ঠিক হল প্রতি সপ্তাহে তারা প্রত্যেকে একটি নির্ধারিত বই এখান থেকে বাড়ি নিয়ে পড়ে পরের সপ্তাহের এই দিনে এখানে এসে মিলিত হবে এক তপ্ত মুখর অন্তরঙ্গ আলোচনায়। বইগুলোর ভেতর লেখকদের যে আত্মার আলো জ্বলছে তার সঙ্গে নিজেদের বহুমুখী বোধের আলো মিশিয়ে তারা জেগে উঠবে উচ্চতর মানবিক সমৃদ্ধির দিকে। ১৯৭৮ সালে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আয়োজনে পনেরো জন সদস্য নিয়ে যে পাঠচক্রটি শুরু হয়েছিল আজ সারা দেশে এর সদস্য সংখ্যা পঁচিশ লক্ষ। এর কর্মকান্ড ও অবয়ব এখন বিপুল।
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এর উদ্যোগে ১৭ ডিসেম্বর ১৯৭৮ (বাংলা ১লা পৌষ ১৩৮৫) সালে এই সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়। "মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়" এই স্বপ্ন নিয়েই বর্তমানে সারা দেশের প্রায় ১৭ লক্ষাধিক ছাত্রছাত্রী বই পড়া কর্মসূচির সাথে জড়িত। এছাড়াও জ্ঞানের বিভিন্ন শাখার আনন্দময় চর্চা ও উৎকর্ষের ভিতর দিয়ে উদার দৃষ্টিসম্পন্ন মানুষ গড়ে তোলার জন্য ২০১৩ সাল থেকে চালু হয়েছে আলোর ইশকুল ও অনলাইনে বইপড়া কর্মসূচি আলোর পাঠশালা। কেন্দ্রে রয়েছে সুবিশাল গ্রন্থাগার, চিত্রকলা প্রদর্শনী কক্ষ, চলচ্চিত্র প্রদর্শনের কক্ষ, গান ও সঙ্গীতের আর্কাইভ সহ আরও অনেক কিছু। ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগার প্রকল্পের অধীনে সংগঠনটি বাসে করে শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন বই প্রেরণের কাজও করে থাকে। সারাদেশব্যপী এ লাইব্রেরীর প্রায় ৭৬টি ভ্রাম্যমাণ গাড়ি আছে। আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ রেমন মেগসেসে পুরস্কারে ভূষিত হন তার এই সংগঠনটির জন্য। ২০০৮ সালে ইউনেস্কোর জ্যঁ আমোস কমেনিউয়াস পুরস্কার লাভ করে সংগঠনটি।
এক নজরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র
প্রতিষ্ঠা | ১৯৭৮ |
নিবন্ধন | সমাজকল্যাণ অধিদপ্তর ও এনজিও বিষয়ক ব্যুরো |
অর্থের উৎস (স্থানীয়) | গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, এনজিও, আর্থিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি বিশেষ |
অর্থের উৎস (বিদেশী) | রাজকীয় নরওয়ে দূতাবাস, রাজকীয় ডেনমার্ক দূতাবাস, বিশ্ব ব্যাংক, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশান, রামোন ম্যাগসেসে ফাউন্ডেশান, সাউথ-এশিয়া পার্টনারশীপ, সিটি গ্রুপ ফাউন্ডেশান |
বিসাকে-র বৈদেশিক শাখা | লন্ডন ও নিউইয়র্ক (সীমিত কর্মকান্ড) |