১৫ নভেম্বর, ২০২৩ ১২:৩৫ পি এম
বাংলা একাডেমিকে বলা হয় বাঙালির মেধা ও মননের প্রতীক। বাংলা ভাষা রক্ষা, ভাষার বিস্তার ও প্রকাশ সংক্রান্ত গবেষণায় এক অনন্য প্রতিষ্ঠান। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন এই বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠার প্রাণপুরুষ। ১৯৪৮ সালে পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলনে তিনি সর্বপ্রথম ভাষাসংক্রান্ত একাডেমি প্রতিষ্ঠার দাবি উত্থাপন করেন। তার এই দাবির সমর্থনে দৈনিক আজাদ পত্রিকা একাডেমি প্রতিষ্ঠার যৌক্তিকতা সম্পর্কে জনমত সৃষ্টির ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
১৯৫৭ সালে পূর্ব পাকিস্তান গণপরিষদে পাসকৃত বিলের মাধ্যমে জন্ম বাংলা একাডেমির। মধ্যযুগীয় কবি দৌলত উজির বাহরাম খানের লায়লী মজনু গ্রন্থ প্রকাশের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু একাডেমির প্রকাশনা বিভাগের। ১৯৫৪ সালে পূর্ব পাকিস্তান পরিষদে শিক্ষামন্ত্রী আজিজুল হক সাহেব বর্ধমান হাউজকে ভাষা গবেষণাগার হিসেবে রূপান্তরের প্রস্তাব অনুমোদন করান। ১৯৫৫ সালের ৩রা ডিসেম্বর পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী আবু হোসেন সরকার উদ্বোধন করেন বাংলা একাডেমির। পূর্ববাংলার তদানীন্তন শিক্ষামন্ত্রী জনাব আশরাফ উদ্দীন আহমদ চৌধুরীও অনুষ্ঠানে ভাষণ দিয়েছিলেন।
বাংলা সাহিত্যের চর্চা, গবেষণা ও প্রচারের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা লাভ করে বাংলা একাডেমি। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন বর্ধমান হাউজে বাংলা একাডেমি সগৌরবে আজো স্বমহিমায় দেদীপ্যমান। দেশজ সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সমকালীন শিল্প ও সাহিত্য সংরক্ষণ, গবেষণা ও প্রচারের মাধ্যমে জাতীয় মানসিক বিকাশ ও উৎকর্ষ সাধন; এই উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু এই প্রতিষ্ঠানের। প্রতিষ্ঠানটি ৬৮ বছরে পদার্পন করতে যাচ্ছে।
১৯৫৫ সালের ২৬ নভেম্বর পূর্ববাংলা সরকার বাংলা একাডেমির আয়োজক সমিতি গঠন করে আদেশ জারি করে। মোহম্মদ বরকতুল্লাহ একাডেমির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিযুক্ত হন। তিনি অবসরগ্রহণ করার পর ১৯৫৬ সালের ১ ডিসেম্বর ড. মুহম্মদ এনামুল হক বাংলা একাডেমির প্রথম পরিচালকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ১৯৫৭ সালের ৩র এপ্রিল পূর্ব পাকিস্তান আইন পরিষদে ‘দি বেংগলি একাডেমি অ্যাক্ট ১৯৫৭’ গৃহীত হয়। এই আইনে বাংলা একাডেমিকে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা প্রদান করা হয়। ১০ আগস্ট, ১৯৫৭ তারিখে উক্ত আইন বলবৎ হয়। এই আইনে বাংলা একাডেমি কাউন্সিল গঠনের বিধান থাকায় একাডেমির আয়োজক সমিতি ‘কাউন্সিল’-এর নাম ও মর্যাদা লাভ করে। বাংলা একাডেমি কাউন্সিল-এ ৬ জন নির্বাচিত সদস্যের বিধান রাখা হয়। কাউন্সিলের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫৮ সালের ২৬ মার্চ।
বাংলা একাডেমির কাজ শুরু হয় গবেষণা বিভাগ, অনুবাদ বিভাগ, সংকলন ও প্রকাশনা বিভাগ এবং সংস্কৃতি বিভাগ নামে চারটি বিভাগ নিয়ে। ১৯৫৭ সালে অনুষ্ঠিত ১০ম সভায় আয়োজক সমিতি বিভাগসমূহের পুনর্বিন্যাস করে ৬টি বিভাগ গঠন করে। বিভাগগুলো হলো :
(১) গবেষণা বিভাগ,
(২) অনুবাদ বিভাগ,
(৩) সংকলন বিভাগ,
(৪) প্রকাশন ও বিক্রয় বিভাগ,
(৫) সংস্কৃতি বিভাগ এবং
(৬) গ্রন্থাগার বিভাগ।
একাডেমির বিভাগসমূহের এই বিন্যাস ১৯৭২ সালের ১৬ মে পর্যন্ত অপরিবর্তিত ছিল। তবে গঠনের পরপরই এসব বিভাগ কাজ শুরু করতে পারেনি।
গবেষণা বিভাগের প্রতিষ্ঠা ও সূচনা হয় ১৯৫৮ সালের জানুয়ারি মাসে। ১৯৬১-৬২ সাল থেকে সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে অনুবাদ বিভাগ কাজ শুরু করে। সংস্কৃতি বিভাগ ও গ্রন্থাগার বিভাগ চালু করা হয় ১৯৫৮ সালের জানুয়ারি মাসে। ১৯৫৭ সালের গোড়ার দিকে প্রকাশন বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়। অতঃপর ১৯৬০ সালের ২৬ জুলাই পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ‘দি বেংগলি একাডেমি (অ্যামেন্টমেন্ট) অর্ডিন্যান্স’ জারি করেন। এতে সভাপতি নিয়োগসহ কাউন্সিল গঠন বিষয়ে কিছু সংশোধনী আনা হয়। এ ছাড়া একাডেমির কর্মকাণ্ড পরিচালনা বিষয়ে সরকারের নিয়ন্ত্রণ আরও জোরদার করা হয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৭২ সালের ১৭ মে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ‘দি বাংলা একাডেমি অর্ডার, ১৯৭২’ জারি করেন। এই আদেশ দ্বারা কেন্দ্রীয় বাঙলা উন্নয়ন বোর্ড বাংলা একাডেমির সঙ্গে সমন্বিত হয়, কাউন্সিলের নাম পরিবর্তন করে ‘কার্যনির্বাহী পরিষদ’ করা হয় এবং মহাপরিচালকের পদ সৃষ্টি করা হয় বাংলা একাডেমির প্রধান নির্বাহী হিসেবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান প্রফেসর মযহারুল ইসলাম বাংলা একাডেমির প্রথম মহাপরিচালক নিযুক্ত হন।
এই আদেশবলে বাংলা একাডেমির বিভাগসমূহ পুনর্বিন্যস্ত করে মোট ৭টি বিভাগ গঠন করা হয়। বিভাগসমূহ হচ্ছে :
(১) প্রাতিষ্ঠানিক বিভাগ,
(২) গবেষণা ও সংকলন বিভাগ,
(৩) অনুবাদ বিভাগ,
(৪) সংস্কৃতি বিভাগ,
(৫) প্রকাশন, বিক্রয় ও প্রেস বিভাগ,
(৬) পাঠ্যপুস্তক বিভাগ এবং
(৭) ফোকলোর বিভাগ।
এরপর ১৯৭৮ সালের ৬ জুন ‘দি বাংলা একাডেমি অর্ডিন্যান্স, ১৯৭৮ জারি করা হয়। আবার ১৯৮৩ সালের প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের এক আদেশবলে একাডেমির বিভাগসমূহের সংখ্যা কমিয়ে ৪টি করা হয় এবং গ্রন্থাগারকে পৃথক করা হয়।
(১) গবেষণা, সংকলন ও ফোকলোর বিভাগ,
(২) ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও পত্রিকা বিভাগ,
(৩) পাঠ্যপুস্তক বিভাগ এবং
(৪) প্রাতিষ্ঠানিক, পরিকল্পনা ও প্রশিক্ষণ বিভাগ।
বর্তমানে ২০১৩ সালের প্রণীত আইন অনুযায়ী বাংলা একাডেমিতে ৮ জন পরিচালকের নিয়ন্ত্রণাধীন ৮টি বিভাগ রয়েছে । বিভাগুলো হচ্ছে;
(১) গবেষণা, সংকলন এবং অভিধান ও বিশ্বকোষ
(২) অনুবাদ, পাঠ্যপ্স্তুক ও আন্তর্জাতিক সংযোগ
(৩) জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ
(৪) বিক্রয়, বিপণন ও পুনর্মুদ্রণ
(৫) সংস্কৃতি, পত্রিকা ও মিলনায়তন
(৬) গ্রন্থাগার
(৭) ফোকলোর, জাদুঘর ও মহাফেজখানা এবং
(৮) প্রশাসন, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও পরিকল্পনা বিভাগ।
এই দীর্ঘ সময়ে বাংলা একাডেমির কলেবর যেমন বেড়েছে, তেমনি কর্মপরিধিও বিস্তৃত হয়েছে। বাংলা একাডেমির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে জাতীয় আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সংগতি রেখে বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির উন্নয়ন, লালন ও প্রসার; বাংলা ভাষার প্রামাণ্য অভিধান, পরিভাষা ও ব্যাকরণ রচনা, রেফারেন্স গ্রন্থ, গ্রন্থপঞ্জি এবং বিশ্বকোষ প্রণয়ন, প্রকাশন ও সহজলভ্যকরণ; বাংলা শব্দের প্রমিত বানান ও উচ্চারণ নির্ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার ব্যবহার ব্যাপকতর ও সমৃদ্ধতরকরণ; বাংলা ভাষায় উচ্চতর পর্যায়ে পাঠ্যপুস্তক রচনা করা এবং উক্ত উদ্দেশ্যে গবেষণা, অনুবাদ গ্রন্থ এবং ভাষা-আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস সম্পর্কিত গবেষণা ও সংকলন গ্রন্থ প্রকাশকরণ; আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলা সাহিত্যের প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় বাংলা সাহিত্যকর্মের অনুবাদ এবং অন্যান্য ভাষার উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম বাংলায় অনুবাদের ব্যবস্থা করা; সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী তথা সব পর্যায়ের গণকর্মচারীদের বাংলা ভাষায় দক্ষতা অর্জন, বাংলা বানানরীতি ও ব্যবহার সম্পর্কে বিশেষ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা। সাহিত্য পুরস্কার প্রদান এবং বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তন এবং ফেলো, জীবনসদস্য ও সদস্যপদ প্রদান; বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রমে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, সংস্কৃতি ও জ্ঞানচর্চা বহির্বিশ্বে প্রচার ও পরিচিতকরণ।
গ্রন্থমেলার সূচনা ও অমর একুশে গ্রন্থমেলা
গ্রন্থমেলায় আগ্রহী কথাসাহিত্যিক ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের সাবেক পরিচালক সরদার জয়েনউদ্দীন আন্তর্জাতিক গ্রন্থবর্ষ উপলক্ষে ১৯৭২ সালে ডিসেম্বর মাসে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে একটি আন্তর্জাতিক গ্রন্থমেলার আয়োজন করেন। সেই থেকেই বাংলা একাডেমিতে বইমেলার সূচনা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলা একাডেমির একুশের অনুষ্ঠানে কোনো বইমেলা হয় নি। তবে বাংলা একাডেমির দেয়ালের বাইরে স্ট্যান্ডার্ড পাবলিশার্সের রুহুল আমিন নিজামী সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রগতি প্রকাশনের কিছু বইয়ের পসরা সাজিয়ে বসেন। তাঁর দেখাদেখি মুক্তধারা প্রকাশনীর চিত্তরঞ্জন সাহা এবং বর্ণমিছিলের তাজুল ইসলামও ওভাবেই তাদের বই নিয়ে বসে যান। ১৯৭৪ সালে বাংলা একাডেমির উদ্যোগে একটি বিশাল জাতীয় সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই মেলার উদ্বোধন করেন। সে উপলক্ষে নিজামী, চিত্তরঞ্জন এবং বর্ণমিছিলসহ সাত-আটজন প্রকাশক একাডেমির ভেতরে পূর্ব দিকের দেয়ালঘেঁষে বই সাজিয়ে বসে যান। সে বছরই প্রথম বাংলা একাডেমির বইয়েরও বিক্রয়কেন্দ্রের বাইরে একটি স্টলে বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়।
এরপর থেকে প্রতি বছর পুরো ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে বাংলা একাডেমি একটি জাতীয় বই মেলার আয়োজন করে যা অমর একুশে গ্রন্থমেলা নামে আখ্যায়িত হয়। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসের ২১ তারিখ বাংলা ভাষার জন্য আত্মোৎসর্গের যে করুণ ঘটনা ঘটে, সেই স্মৃতিকে অম্লান রাখতেই এই মাসে আয়োজিত এই বইমেলার নামকরণ করা হয় "অমর একুশে গ্রন্থমেলা"। ১৯৮৪ সাল থেকে বাংলা একাডেমি আয়োজিত বইমেলাকে অমর একুশে গ্রন্থমেলা নামকরণ করা হয়।
পুস্তক প্রকাশনা
বাংলা একাডেমি থেকে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সাল পর্যন্ত মোট ৫৪৮১টি পুস্তক ও পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছে। এতে রয়েছে কথাসাহিত্য, কবিতা, সাধারণ অভিধান, পরিভাষা অভিধান, বিভিন্ন লেখক-কবির রচনাবলি, সাহিত্য গবেষণা, সাহিত্য সমালোচনা, দর্শন, ইতিহাস, ভূগোল, গণিত, বিজ্ঞান, সাংবাদিকতা, ভাষা-আন্দোলন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, শিশু-কিশোর সাহিত্য, অনুবাদ, ধর্ম, সংস্কৃতি, জীবনী ইত্যাদি বিষয়ের গ্রন্থাবলি।
পত্র-পত্রিকা প্রকাশনা
বাংলা একাডেমি থেকে বেশ কয়েকটি মাসিক, ত্রৈমাসিক ও ষাণ্মাসিক পত্রিকা ও ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয়। সেগুলো হলো;
পুরস্কার প্রদান
‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার’ বাংলা ভাষার অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ সাহিত্য পুরস্কার। ১৯৬০ সালে এ পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়। বাংলা সাহিত্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। ১৯৮৬ সাল থেকে বছরে ২ জনকে এই পুরস্কার প্রদানের নিয়ম করা হলেও, পরবর্তীতে ২০০৯ সাল থেকে চারটি শাখায় পুরস্কার দেয়া শুরু হয়। এটি ছাড়াও বাংলা একাডেমি কয়েকটি পুরস্কার প্রদান করে থাকে। সেগুলো হল:
স্বীকৃতি
শিল্পচর্চায় অনন্য অবদানের জন্য ২০১০ সালে বাংলাদেশের “সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার” হিসাবে পরিচিত “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয় এই প্রতিষ্ঠানটিকে। তাছাড়াও বাংলা একাডেমিকে আনন্দ পুরস্কার দেওয়া হয়। কিন্তু বাংলা একাডেমি তা প্রত্যাখ্যান করে।
বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ
বাংলা একাডেমি নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের গুণী, পণ্ডিত ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি বছর সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে। এছাড়া বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্তগণও ফেলো হিসেবে গণ্য হন। বাংলা একাডেমির সাধারণ পরিষদের বার্ষিক সভায় সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করা হয়। সম্মানসূচক ফেলোশিপপ্রাপ্তদের সম্মাননাপত্র ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অমর্ত্য সেনকেও এই সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করা হয়।
তথ্য সূত্র:
১. অধ্যাপক ডা: শাহ মো: বুলবুল ইসলাম, বাংলা একাডেমি: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি, নয়াদিগন্ত, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
২. সেলিনা হোসেন, বাংলাচর্চায় বাংলা একাডেমি, দেশ রূপান্তর, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২
৩. বাংলা একাডেমি ডট গভ ডট বিডি
৪. বাংলাপিডিয়া।
৫. উইকিপিডিয়া।
৬. শামসুজ্জামান খান, বইমেলার ইতিহাস ও নতুন আঙ্গিকে বইমেলা, প্রথম আলো, ৩১ জানুয়ারি ২০১৪।
৭. স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের তালিকা। আর্কাইভ, বাংলা একাডেমি।
৮. অমর্ত্য সেনকে বাংলা একাডেমীর সম্মানসূচক ফেলোশিপ, ডয়চে ভেলে, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১১।