১ জুলাই, ২০২৪ ১১:৩৮ এএম
আসাদ বিন হাফিজ (৬৬) রোববার দিবাগত রাত ১২.৫৫ মিনিটে ১ জুলাই ২০২৪ ঢাকার ১টি বেসরকারী হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তিনি ২ ছেলে ১ মেয়ে, স্ত্রীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। ১৯৫৮ সালের ১ লা জানুয়ারি গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ থানাধীন মোক্তারপুর ইউনিয়নের বড়গা গ্রামে তাঁর জন্ম।
তাঁর মৃত্যুতে যৌথ এক বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দেশীয় সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ ও সেক্রেটারি ড. মোস্তফা মনোয়ার।
শোকবার্তায় নেতৃবৃন্দ বলেন-আসাদ বিন হাফিজ সমকালীন বাংলা সাহিত্যের অনন্য কাব্যপ্রতিভা ছিলেন। তিনি একাধারে একজন কবি, গীতিকার, শিশুসাহিত্যিক ও ঔপন্যাসিক ছিলেন। ধ্যানে-জ্ঞানে সাহিত্য অন্ত:প্রাণ মানুষ ছিলেন। সাহিত্যের নানাবিধ শাখায় তিনি অবাধ বিচরণ করেছেন। তিনি ছিলেন একজন দক্ষ সংগঠক। সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী, বিপরীত উচ্চারণ, স্বদেশ সংস্কৃতি সংসদ, সাহিত্য সংস্কৃতি কেন্দ্র, সাংস্কৃতিক ঐক্যফ্রন্ট, নবধারা, ঐহিত্য সংসদ, কবিতা বাংলাদেশ সহ সাহিত্য সংস্কৃতির নানা সংগঠনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নেতৃত্ব দিয়েছেন। এদেশের সুস্থধারার সাহিত্য সাংস্কৃতিক আন্দোলনের একজন সিপাহসালার ছিলেন তিনি। আমরা তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
আগামী প্রজন্মের জন্য কবি আসাদ বিন হাফিজ এক অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব। তাঁর রেখে যাওয়া কাজ আঞ্জাম দেয়া আমাদের একান্ত প্রয়োজন। সম্ভাব্য সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে কবি আসাদ বিন হাফিজ স্মরণে দোয়া ও আলোচনা সভা আয়োজন করার আহবান জানাচ্ছি।
মহান আল্লাহ তাঁর পরিবারকে ধৈর্য ধারণ ও তাঁর রহমতের ছায়ায় আশ্রয় দান করুন।
কবি আসাদ বিন হাফিজের মৃত্যুতে আরও শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ কালচারাল একাডেমির সভাপতি আবেদুর রহমান ও সেক্রেটারি ইব্রাহিম বাহারী, সাহিত্য সংস্কৃতি কেন্দ্রের সভাপতি যাকিউল হক জাকী, সেক্রেটারি মাহবুব মুকুল, রাঙামাটি সংস্কৃতি সংসদদের পরিচালক মুহাম্মদ কনজুল ইসলাম। শোক প্রকাশ করেছে কবিতা বাংলাদেশ, চলচ্চিত্র ও নাট্য সংসদ, ঢাকা সাহিত্য কেন্দ্র, চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমি, সিলেটের জল তরঙ্গ সাহিত্য পরিষদ, নরসিংদী সাংস্কৃতিক সংসদ নসাস, মানিকগঞ্জ সাংস্কৃতিক সংসদ, কক্সবাজারের শতাব্দী সাংস্কৃতিক সংসদ।