১০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৫:২০ পি এম
আয় শীতে যাই গাঁয়
শুকনো-শীতল পথ ধরে আয়
হাঁটবো পায়ে পায়।
খেজুর গাছের টসটসে রস খাবো গো
এক সাথে সব মামার বাড়ি যাবো গো
চড়বো তখন ছোট্ট খালের
ছোট্ট ডিংগি নায়।
আয় শীতে যাই
গায়ের বাড়ি ঘরে
কয়েকটা দিন কাটবে না হয়
পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে।
সহজ-সরল মানুষ আপন করবো গো
পল্লীগানের সুরে গলা ভরবো গো
দেখবো ধানের ক্ষেতে বাতাস
কেমন করে ধায়।
শীত যেনো চাবুক আজ
শীত যেনো অস্ত্র,
সেই শীত ঠেকাবার
দুখীদের বাঁচাবার
নেই শীত বস্ত্র।
ঠঠক্ করে কাঁপে বত্তির পিচ্চি
কেউতো বলে না তারে-কম্বল দিচ্ছি
সাব্বাস সাব্বাস
সোয়েটার নিয়ে যাস
বলে নাতো হেসে কোনো
বড় লোক মন্ত।
শীত এলে বোঝা যায়
কার দয়া কতোটা
কার আছে মানবতা
স্নেহ-মায়া-মমতা।
ফুটপাতে পড়ে আছে খালি গায় পঙ্গু
নেই কি রে কেউ তার দরদী ও বন্ধু
এই শীতে গরীবের
সবহারা নিঃশ্বের
দিকে দিবে বাড়িয়ে যে
মোবারক দন্ত।
শীত সকালেও শীত রাত্রেও
শীত যে সারাবেলা
শীতের সঙ্গে চারদিকে ঐ
ঘোর কুয়াশার খেলা।
শীতের ভয়ে সূর্যটাও ভীষণ জড়সড়
দিনদুপুরেও প্রতাপটা তার নয়তো খরতর
তাইতো বুঝি হিমেল হাওয়ায়
কনকনে শীত ঠিক বয়ে যায়
পাতায়-পাতায় নিশির শিশির
বসায় শীতের মেলা।
পত্র ঝরার দিন এলো গো
এই বনে ঐ বনে,
মর্মর-অবাক-ছন্দ এলো
এই মনে ঐ মনে।
রোদ পোহাবার ধুম পড়েছে পাড়ায় পাড়ায় আজি
এক ধামাতে গুড়-মুড়ি তাই সবাই খেতে রাজি
ময়মুরব্বি, সবার বড়
খোকন সোনা ছোট্ট- কারো
শীতের পিঠেয় রসের পিঠেয়
নেই তো অবহেলা।