১২ অগাস্ট, ২০২৪ ১৮:০০ পি এম
আজকের তরুণ আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম তারুণ্যের মধ্যেই সর্বদা লুকায়িত সব বাধা-বিপত্তি, অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার উজ্জীবিত শক্তি। তাই বলা হয়, ‘তারুণ্যেই শক্তি, তারুণ্যেই মুক্তি’। পৃথিবীর যত মহত্কর্ম সাধিত হয়েছে, মুক্তির উদ্যম হাওয়া যত প্রান্তর বেয়ে প্রবাহিত হয়েছে তার প্রত্যেকটির পেছনে অসামান্য অবদান রয়েছে তরুণদের। এই তরুণদের হাত ধরেই বাংলাদেশ আরেকবার স্বৈরশাসককে ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করেছে। এ বিজয় তারুণ্যের, এ বিজয় যুব সমাজের। আজ ১২ আগস্ট আন্তর্জাতিক যুব দিবস। এ বছর বাংলাদেশের জনগণের জন্য দিবসটি বেশ স্মরণীয়। ৫ আগস্ট স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতনের এক সপ্তাহের মাথায় দিবসটি সামনে এসেছে।
তারুণ্যের বিকাশ ও উন্নয়নে ১৯৯৮ সালে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের ‘ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স অব মিনিস্টার রেসপনসিবল ফর ইয়ুথ’ ১২ আগস্টকে ‘আন্তর্জাতিক যুব দিবস’ হিসেবে উদ্যাপনের প্রস্তাব করে। পরের বছর ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দিনটিকে ‘আন্তর্জাতিক যুব দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিনটি পালন করা হচ্ছে। দিবসটির উদ্দেশ্য- যুব সমাজকে ঘিরে সাংস্কৃতিক এবং আইনী সমস্যাগুলোর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা।
জাতিসংঘ তরুণদের গুরুত্ব উপলব্ধি করেই যুব উন্নয়নের বিষয়ে এখন অধিকতর মনোযোগী। ‘আন্তর্জাতিক যুব দিবস’ ২০২৪ সালের প্রতিপাদ্য হলো—“Empowering Youth, Building Tomorrow.” অর্থ্যাৎ ‘যুবকদের ক্ষমতায়ন আগামীর ভিত্তি’।
জাতিসংঘের হিসাবে, পৃথিবীতে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী ১২০ কোটি মানুষ রয়েছে, যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ১৬ শতাংশ। বাংলাদেশের ‘জাতীয় যুবনীতি’ অনুসারে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের ‘যুব’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ হিসাবে মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশই যুব জনতা, যা প্রায় ৫ কোটি ৩০ লক্ষ।