২৯ জানুয়ারি, ২০২৪ ১১:২৭ এএম
খ্যাতনামা চলচ্চিত্রকার ও নির্মাতা প্রয়াত শেখ আবুল কাসেম মিঠুনের প্রবন্ধ গ্রন্থ ‘ইসলামে চলচ্চিত্র ও নাটক’ প্রকাশিত হয়েছে। বইটি দেশজ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয়েছে। এর প্রচ্ছদ ডিজাইন করেছেন হাশেম আলী।
চলচ্চিত্র ও নাটক বিষয়ক তার ৭টি প্রবন্ধ নিয়ে ‘ইসলামে চলচ্চিত্র ও নাটক' গ্রন্থটি সাজানো হয়েছে। বইটির কভার মূল্য ২৫০ টাকা। অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২৪ এর দেশজ প্রকাশনের ৫৮৭ নং স্টলে বইটি পাওয়া যাবে। এছাড়াও পাঠকরা রকমারি ডটকম থেকে বইটি সংগ্রহ করতে পারবেন।
১৯৫১ সালের ১৮ এপ্রিল সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার দরগাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম শেখ আবুল হোসেন। মায়ের নাম হাফিজা খাতুন। তার পড়াশোনায় হাতেখড়ি নিজ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেন। খুলনায় অবস্থানকালে দৈনিক কালান্তরে লেখালেখির মধ্যদিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরবর্তীতে সাপ্তাহিক ইত্তেহাদের সাহিত্য সম্পাদক ও দৈনিক আবর্তন’র সহ-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
ঢাকায় এসে শেখ আবুল কাসেম মিঠুন বিনোদন সাংবাদিকতায় নিয়োজিত হন। সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়মিত এফডিসিতে যেতেন। সেই সময় তার সুদর্শন চেহারা দেখে মুদ্ধ হন চিত্রপরিচালক হাফিজ উদ্দিন ও আলমগীর কুমকুম। তাদের আমন্ত্রণে মূলত অভিনয়ের জগতে প্রবেশ শেখ মিঠুনের। ১৯৮০ সালে বজলুর রহমান পরিচালিত' তরুলতা' নামের চলচ্চিত্রেও তিনি প্রথম অভিনয় করেন। ১৯৮২ সালে শেখ নজরুল ইসলাম পরিচালিত 'ঈদ মোবারক' চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে অভিনয় করেন। তিনি অভিনয় করেন বহু সুপারহিট চলচ্চিত্রে।
২০০০ সালে শেখ আবুল কাসেম মিঠুন সিনেমার অভিনয় থেকে সরে আসেন এবং আদর্শিক ধারায় কাজ শুরু করেন। তাঁর গল্প ও পরিচালনায় ‘আহ্বান’চলচ্চিত্র এবং তার চিত্রনাট্যে আল্লারাখা, ওরাও মানুষ নাটক ছাড়াও বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র ও নাটক নির্মিত হয়েছে। শিশুদের নিয়ে দিগন্ত টেলিভিশনে তার ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানটিও ছিল বেশ জনপ্রিয়। তিনি মৃত্যুর আগপর্যন্ত স্ক্রিপ্ট রাইটার, পরিচালক, গীতিকার ও সুরকার হিসেবে কাজ করেছেন। কবি মতিউর রহমান মল্লিক-এর মৃত্যুর পর তিনি ‘বাংলাদেশ সংস্কৃতি কেন্দ্র’র হাল ধরেন।
৭৪ এর দুর্ভিক্ষ নিয়ে আঞ্চলিক ভাষায় তার রচিত উপন্যাসগ্রন্থ 'আমরাই' ১৯৮৯ সালে প্রকাশিত হয়। এরপর তার দ্বিতীয় গ্রন্থ 'শিক্ষা ও সংস্কৃতির নেতৃত্ব: সংকট ও সংঘাত' প্রকাশিত হয় ২০০৬ সালে। তিনি আমৃত্যু চলচ্চিত্র, নাটক, সংস্কৃতি, মিডিয়াসহ বহুবিধ বিষয়ে অনেক প্রবন্ধ-নিবন্ধ লিখে গেছেন। শেখ আবুল কাসেম মিঠুন ২০১৫ সালের ২৫ মে ইন্তেকাল করেন।