১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১০:২৭ এএম
বাংলাদেশ চারুশিল্পী পরিষদের উদ্যোগে ৩১ আগষ্ট রবিবার বিকাল ৪:০০ ঘটিকায় জাতীয় জাদুঘর, নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে- ৩৬ জুলাই ২য় স্বাধীনতার বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ৯ দিনব্যাপী ক্যালিগ্রাফি ও গ্রাফিতি প্রদর্শনী-২০২৫-এর সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ চারুশিল্পী পরিষদের সভাপতি বিশিষ্ট কার্টুনিষ্ট ইব্রাহীম মণ্ডল-এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ক্যালিগ্রাফির মাধ্যমে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে সম্মান জানানো সত্যিই অনন্য। ক্যালিগ্রাফি দিয়ে অভ্যুত্থানকে স্মরণ করেছেন শিল্পীরা। আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, কিছু মানুষের আত্মত্যাগের কারণেই আমরা দেশে নতুন একটি পরিবেশ পেয়েছি। যাকে আমরা অনেকেই বলছি দ্বিতীয় স্বাধীনতা। এ পরিবেশ তৈরির কারিগর হলেন তারা, যারা নিজের বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে দেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করেছেন। তাদের কোনো রকম প্রতিদানের আশা ছিল না। ফলে তাদের এ ঋণ স্বীকার করে নেয়া আমাদের দায়িত্ব। আর এজন্যই আয়োজিত হয়েছে এ ক্যালিগ্রাফি ও গ্রাফিতি অনুষ্ঠান। এভাবে এ আন্দোলনে যাদের যতটুকু অবদান রয়েছে তা স্বীকার করে নিতে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সবশেষে ক্যালিগ্রাফির এ আয়োজনকে আরো জনপরিসরে, আরো বিস্তৃত পরিসরে আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন ড. নিয়াজ আহমদ খান।
উক্ত অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ, দৈনিক নয়া দিগন্ত-এর সাহিত্য সম্পাদক কবি জাকির আবু জাফর, বাংলাদেশ বেতার-এর সংবাদ পাঠক শরীফ বায়েজীদ মাহমুদ, বাংলাদেশ কালচারাল একাডেমির সভাপতি আবেদুর রহমান, গীতিকার-সুরকার ওস্তাদ তাফাজ্জল হোসাইন খান, প্যানভিশন টিভির সিইও মাহবুব মুকুল, প্রিন্সিপ্যাল সালাউদ্দিন সুমন, সমন্বিত সাংস্কৃতিক সংসদের নির্বাহী পরিচালক আবু মুসা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ চারুশিল্পী পরিষদের সেক্রেটারি মুফাচ্ছির আহমেদ ফয়েজী।
উল্লেখ্য, গত ২৩ আগষ্ট শনিবার ৯ দিনব্যাপী এ আয়োজনের উদ্বোধন করা হয়। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা (শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা) পর্যন্ত এ প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল।