১০ অগাস্ট, ২০২৫ ১৭:০৪ পি এম
জুলাই বিপ্লবের মূল প্রেরণা ছিল বৈষম্য দূর করে সমাজে ন্যায়, সমতা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা। ফলে গুণী শিল্পী-সাহিত্যিকদের যথাযথ সম্মান ও মূল্যায়নের মাধ্যমে বৈষম্য নিরসন করতে পারলেই সেই জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে লালন করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। সিরাজগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রত্যাশা সাংস্কৃতিক সংসদের আয়োজনে গত ৯ আগস্ট শনিবার স্থানীয় এক হোটেলে জুলাই বিপ্লব ২০২৪ এর বর্ষপূর্তি উপলক্ষে লেখক, শিল্পী সমাবেশ ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মাওলানা খান আরও বলেন, গুণী শিল্পী ও সাহিত্যিকরা একটি জাতির সাংস্কৃতিক ভিত্তি গড়ে তোলেন, তাই তাদের যথাযথ মূল্যায়ন একটি সভ্য সমাজের অপরিহার্য শর্ত। যখন শিল্পী-সাহিত্যিকদের অবদান সঠিকভাবে স্বীকৃতি পায়, তখন সমাজে সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটে এবং মানুষের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বাড়ে। অপরদিকে, অবমূল্যায়ন ও বৈষম্য মেধার ক্ষয় ঘটিয়ে সংস্কৃতিকে দুর্বল করে দেয়।
প্রত্যাশা সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি ড. খ ম আব্দুর রাজ্জাক-এর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মোহাম্মদ ওমর ফারুক-এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার সভাপতি প্রফেসর ড. কামরুল হাসান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মাওলানা আব্দুস সামাদ, জেলা উপদেষ্টা মাওলানা শাহীনুর আলম, অধ্যক্ষ আলী আলম, অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম, ড. নজরুল ইসলাম, প্রফেসর জাহাঙ্গীর আলম, অধ্যক্ষ মীর আশরাফ আলী, প্রফেসর হাবিবুল্লাহ সিদ্দিকী, ড. ইসমাইল হোসেন, ড. আব্দুস সবুর, এডভোকেট রফিকুল ইসলাম সেলিম, মাসুদুর রহমান প্রমুখ।
দিনব্যাপী আয়োজনের মধ্যে ছিল ফিরে দেখা জুলাই বিপ্লব ২০২৪, লেখকের দায়বদ্ধতা ও সৃজনশীলতা বিষয়ে সেমিনার, গুণীজন সংবর্ধনা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাহিত্য সাংস্কৃতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ১০ গুণীজনকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।
জুলাই বিপ্লব ২০২৪ বর্ষপূর্তি স্মারকগ্রন্থ ‘স্ফুরন’ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা জুলাই বিপ্লবের অর্জনকে টেকসই করতে লেখক শিল্পী ও গুণীজনদের করণীয় সম্পর্কে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা তুলে ধরেন।