৩০ মে, ২০২৪ ১০:১৮ এএম
হজ ইসলামের চতুর্থ ও এক গুরুত্বপূর্ণ রুকন (স্তম্ভ)। সকল শর্ত পুরন সাপেক্ষে সারা জীবনে তা মাত্র একবার আদায় করা ফরজ। ইসলামের অন্যান্য বিধানের মতই হজের বিধি-বিধান নারী-পুরুষের সকলের জন্য প্রায় সমান। তবে তা আদায়ের পদ্ধতিগত কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। আর এটা হয়েছে নারী-পুরুষের দৈহিক গঠন ও প্রকৃতিগত কিছুটা ভিন্নতার জন্যই। যেমন নারীদের ওপর স্বাভাবিকভাবে স্বসস্ত্র জিহাদ ফরজ নয়। নারীদের জন্য হজ জিহাদ সমতুল্য বলে হাদিসে এসেছে। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: “হে আল্লাহর রাসূল, নারীদের ওপর কি জিহাদ আছে? তিনি বললেন: হ্যাঁ, তাদের ওপর এমন জিহাদ আছে যেখানে মারামারি নেই: (অর্থাৎ) হজ ও উমরাহ”। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে ইমাম বুখারী আরো বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন:“হে আল্লাহর রাসূল, আমরা জিহাদকে সর্বোত্তম আমল মনে করি, আমরা কি জিহাদ করব না? তিনি বলেন: তোমাদের জন্য সর্বোত্তম জিহাদ মাবরুর হজ”।
তবে এ হজ পালনেও নারী ও পুরুষের মধ্যে কিছূটা ভিন্নতা রয়েছে। নিম্নে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
১. মাহরাম:
হজে নারী-পুরুষ সবার জন্য কিছু বিধান রয়েছে সাধারণ, যেখানে কোনো ভিন্নতা নেই, সমানভাবে সবার জন্যই তা প্রযোজ্য। সেগুলো হলো: বিবেক, স্বাধীনতা, সাবালকত্ব ও অর্থনৈতিক সামর্থ্য। তবে নারীর জন্য অতিরিক্ত শর্ত হচ্ছে মাহরাম থাকা, যার সাথে সে হজের সফর করবে। মহিলাদের মাহরাম তারাই যাদের সাথে বিয়ে হওয়া স্থায়ীভাবে হারাম। যাদের সামনে পূর্ণ পর্দার প্রয়োজন নাই। উল্লেখ্য যে, যারা গায়রে মাহরাম বা যাদের সাথে বিবাহ হালাল তাদের সামনে পূর্ণ পর্দা করা আবশ্যক। মাহরাম হওয়ার শর্ত হল এই যে: মাহরামকে অবশ্যই মুসলিম, বিবেকবান এবং প্রাপ্ত বয়স্ক হতে হবে। মহিলাদের মাহরাম যাদেরকে সাথে নিয়ে হজে যেতে পারবে তারা হলেন ১৪ শ্রেনীর। ১. আপন বাবা, ২. আপন ভাই, ৩. আপন ছেলে, ৪. আপন মামা, ৫. আপন চাচা, ৬. আপন ভাতিজা, ৭. আপন ভাগনে, ৮. আপন শ্বশুর, ৯. আপন মেয়ের জামাই, ১০. আপন নানা, ১১. সৎ ছেলে, ১২. সৎ বাবা, ১৩. আপন নাতী, ১৪. আপন দাদা। এসব মাহরাম সদস্যদের যে কেউ ছাড়া কোনো মহিলাগণ হজে যেতে পারবেন না। কেননা হাদিসে এসেছে, ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বর্ণনা করেন, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে খুৎবায় বলতে শোনেন-“মাহরাম ব্যতীত কোনো নারী পুরুষের সাথে একান্তে থাকবে না, অনুরূপ মাহরাম ব্যতীত নারী সফর করবে না। এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসূল, আমার স্ত্রী হজের উদ্দেশ্যে বের হয়েছে, আর আমিও অমুক অমুক যুদ্ধে নাম লিখিয়েছি। তিনি বললেন: যাও, তোমার স্ত্রীর সাথে হজ কর”।
তাই কোনো মহিলার মাহরাম যোগাড় না হলে, কাউকে প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ দান করে বদলী হজ সম্পাদন করবে।
২. নফল হজের জন্য স্বামীর অনুমতি:
স্ত্রী নফল হজ করতে চাইলে স্বামীর অনুমতি প্রয়োজন। কারণ, স্ত্রী নফল হজে বের হলে তার ওপর স্বামীর যে হক রয়েছে তা বিনষ্ট হয়। ইবন কুদামাহ রহ. ‘আল-মুগনি’: (৩/২৪০) গ্রন্থে বলেন: “স্ত্রীকে নফল হজ থেকে নিষেধ করার অধিকার স্বামীর রয়েছে। ইবনুল মুনযির বলেন: যেসব আলেমের ইলম আমার নিকট রয়েছে, তারা সবাই একমত যে স্ত্রীকে নফল হজ থেকে বারণ করার ইখতিয়ার স্বামীর রয়েছে, তার কারণ স্বামীর হক তার ওপর ওয়াজিব, অতএব নফল ইবাদতের জন্য ওয়াজিব নষ্ট করার সুযোগ স্ত্রীর নেই।
৩. সাভাবিক কাপড়েই ইহরামের পোশাক:
নারী যে কোন ধরনের পোশাকে ইহরাম বাঁধতে পারেন। সেটা কালো রঙের হোক অথবা অন্য যে কোন রঙের হোক। তবে অশ্লীল ও উত্তেজক পোশাক থেকে বেঁচে থাকবে। যেমন- সংকীর্ণ, স্বচ্ছ, কাটা বা ছেঁড়া, ডিজাইন করা ইত্যাদি পোশাক। অনুরূপভাবে পুরুষের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ পোশাক বা কাফেরদের পোশাক পরিধান করবে না। এ থেকে আমরা জানতে পারি সাধারণ মানুষের মধ্যে যারা নারীদের উপর বিশেষ রঙের পোশাকে ইহরাম করা অনিবার্য করে দেন যেমন- সবুজ বা সাদা রঙের পোশাক তাদের পক্ষে কোন দলিল নেই। আর এরুপ জরূরী মনে করলে তা হবে বিদআত।
৪. নিকাব, হাত মোজা ও পা মোজা পরা নিষিদ্ধ:
ইহরামকারী নারীর জন্য নিকাব পরা, হাত মোজা পরা হারাম। যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “নারী নিকাব পরবে না, মোজা পরবে না।”[সহিহ বুখারি]
৫. জনন্মুখে চেহারা ঢেকে রাখা:
ইহরাম অবস্থায় নিকাব পরা বা মোজা পরা নিষিদ্ধ এ অজুহাতে কোন নারী তার চেহারা বা হাত বেগানা পুরুষের সামনে প্রকাশ করবে না। কারণ যে কোন কাপড় দিয়ে বা আঁচল দিয়ে নারী তার চেহারা ও হাত ঢেকে রাখতে পারেন। আয়েশা (রাঃ) বলেন: “আমরা যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে ইহরামরত ছিলাম তখন আরোহীরা আমাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আমরা মাথার উপর থেকে মুখের উপর ওড়না ফেলে দিতাম। তারা পার হয়ে গেলে আমরা মুখ খোলা রাখতাম।”[সুনানে আবু দাউদ]
৬. উচ্চস্বরে তালবিয়া পড়া:
তালবিয়া পাঠ একটি জরুরি কাজ। তবে, নারীগণ উচ্চস্বরে তালবিয়া পড়বেন না। বরং নিম্নস্বরে তালবিয়া পড়বেন; যাতে নিজ কানে শুনেন ও আশপাশের মহিলারা শুনতে পায়। ফেতনা থেকে বাঁচতে ও কারো নজরে পড়া থেকে দূরে থাকার জন্য বেগানা পুরুষদেরকে শুনাবেন না। হজ্জের ইহরাম বাঁধার পর থেকে ঈদের দিন জামরা আকাবাতে কংকর নিক্ষেপ করা পর্যন্ত তালবিয়া পড়তে থাকবেন।
৭. প্রয়োজনে হায়েয রোধকারী ট্যাবলেট খাওয়া:
যদি নারীর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর না হয় তাহলে হায়েয রোধকারী ট্যাবলেট খাওয়া বৈধ। যাতে করে তিনি স্বাচ্ছন্দে হজের কাজ করতে পারেন।
৮. সকল অবস্থায় পুরুষের ভিড় এড়িয়ে চলা:
হজের সকল কার্যাবলী পালনের ক্ষেত্রে পুরুষদের ভিড় এড়িয়ে চলবেন। বিশেষতঃ তাওয়াফকালে হাজারে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়েমানীর কাছে। তদ্রূপ সাঈ ও কংকর নিক্ষেপকালে। যে সময়গুলোতে ভিড় কম থাকে সে সময়গুলো নির্বাচন করে কাজ সমাধা করতে হবে।। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা যখন তাওয়াফ করতেন, তখন তিনি পুরুষদের থেকে দূরে থাকতেন। এক মহিলা তাকে বলল, চলুন, আমরা হাজারে আস্ওয়াদের নিকট যাই। তখন তিনি বললেন: ‘আমার কাছ থেকে চলে যাও।’ তিনি যেতে রাজি হননি।
উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু মহিলাদের পুরুষদের সাথে মিশতে মানা করেছিলেন। একদা দেখলেন, এক পুরুষ মহিলাদের সাথে তাওয়াফ করছে। তখন তিনি তাকে ছড়ি দিয়ে মারলেন।
৯. প্রান্তদিক থেকে তাওয়াফ করা:
মহিলাগণ পুরুষদের ভিড় থেকে বাঁচার জন্য প্রান্তদিক থেকে তাওয়াফ করবেন। প্রয়োজনে দ্বোতলা তিন তলা দিয়ে তাওয়াফ করবে। তাওয়াফ, সাফা মারওয়া সা’য়ী এবং অন্যান্য সময় পর পুরুষের সামনে মুখ খোলা রাখা, পর্দাহীন অবস্থায় থাকা এবং সাজ-সজ্জা প্রকাশ করা নিঃসন্দেহে গুনাহের কাজ। বিশেষ করে হাজারে আস্ওয়াদে চুমো দেওয়ার সময়। লক্ষণীয় যে, হারামের মধ্যে ফিতনা সৃষ্টি করা সবচেয়ে বড় গর্হিত কাজ। আল্লাহ তাআলা বলেন : “আর যে সেখানে সীমালংঘন করে পাপ কাজের ইচ্ছে করে, তাকে আমি আস্বাদন করাব যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।” অনেক মহিলা এভাবে বেপর্দা হয় চলার জন্য হারামের মত স্থানে নিজেও গুনাহ্গার হয়, অন্যদেরকেও গুনাহ্গার করে।
১০. রমল না করা:
নারীদের উপর বায়তুল্লাহ তাওয়াফে কোনো রমল নেই। রমল হচ্ছে-তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করে ছোট ছোট কদমে দ্রুত হাঁটা।
১১. উঁচু স্বরে দোআ না পড়া:
মহিলাগণ তাওয়াফ, সা’য়ী ও অন্যান্য দো’আ ও মুনাজাতের সময়ও তার কন্ঠস্বর উঁচু করবে না।
১২. ইযতেবা না করা:
মহিলাগনের উপর ‘ইয্তেবা’ নেই। ইযতেবা হলো ইহরামের চাদরের ডান মাখা ডান বোগলের নিচ দিয়ে বাম কাধের উপর ফেলে দেয়া।
১৩. ভিড়ে হাজরে আসওয়াদ এবং রুকনে ইয়ামানী ধরার চেষ্টা না করা:
মহিলাদের জন্য ভিড় থাকলে হাজরে আসওয়াদ এবং রুকনে ইয়ামানী ধরার চেষ্টা না করাই ভাল। হাজারে আস্ওয়াদের নিকট পুরুষদের সাথে মেলা-মেশা থেকে মহিলাদের বিরত থাকতে হবে এবং হাজারে আস্ওয়াদে চুমো খাওয়ার জন্য পুরুষদের সামনে মুখ খোলা জায়েয হবে না। কেননা, এটি গুরুতর অন্যায় এবং বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
১৪. সবুজ গম্বুজের মাঝখানে না দৌড়ানো:
সাফা মারওয়া সা’য়ীর সময় মহিলাগণ দুই সবুজ গম্বুজের মাঝখানে দৌড়াবেন না।
১৫. সাফা মারওয়া পাহাড়ের উপরে না উঠা:
সা’য়ীর সময় মহিলাগণ সাফা মারওয়া পাহাড়ের উপরে বেয়ে উঠার চেষ্টা করবেন না।
১৬. অন্যান্য পাহাড়ের উপরে না উঠা:
সাফা মারওয়া পাহাড় ছাড়া জাবালে সাওর, জাবালে হেরাসহ অন্যান্য পাহাড়ে আরোহণ করা যদিও হজের কোনো কাজ নয়: তবুও অনেকে এসব পাহাড়ে আরোহন করে থাকেন। তাদের দেখাদেখি মহিলারও এ কাজটি করেন, যা তাদের জন্য মোটেও কাম্য নয়।
১৭. পুরুষদের অযুখানায় অযু করা:
নারীগণ শরীরের কোন অংশ উন্মুক্ত করার ক্ষেত্রে সাবধান থাকবেন বিশেষতঃ যে স্থানগুলোতে কোন পুরুষ আপনাকে দেখে ফেলতে পারে। যেমন- সাধারণ ওজুখানা। কারণ কিছু কিছু নারী এ স্থানগুলোতে পুরুষের অতি কাছাকাছি উপস্থিতিকে পরোয়া করে না। তিনি তার মুখ, হাতের কনুই, পায়ের গোছা পর্যন্ত উন্মুক্ত করে ফেলেন। ক্ষেত্রে বিশেষে মাথার ওড়না খুলে ফেলেন এতে তার মাথা ও গর্দান উন্মুক্ত হয়ে যায়। অথচ এগুলো উন্মুক্ত করা হারাম।
১৮. পুরুষের পাশে নামায পড়া
হারাম শরীফে পুরুষের আশপাসে নামায পড়া কোনো ক্রমেই ঠিক নয়। আপনার মাহরামকে নিয়েও না। তবে নিজ গৃহে মাহরামকে নিযে নামায পড়তে কোনো সমস্যা নেই। খেয়াল রাখতে হবে কোনো পরপুরুষের সামনে, পিছনে, ড়ানে ও বামে যে কোনো স্থানে মহিলাগণ নামায পড়লে পুরুষের নামায নষ্ট হয়ে যাবে। তবে নিজ গৃহে ভিন্ন কথা।
১৯. প্রয়োজনে ফজরের আগে মুযদালিফা ত্যাগ করা:
মুযদালিফায় রাত্রি যাপন শেষে নারীদের জন্য ফজরের আগে মুযদালিফা ত্যাগ করা জায়েয: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিছু কিছু নারীকে বিশেষতঃ দুর্বলদেরকে এই অবকাশ দিয়েছিলেন যে, তারা শেষ রাতে চন্দ্র অস্ত যাওয়ার পর মুযদালিফা ত্যাগ করতে পারবে যাতে করে ভিড়ের আগে তারা জমরা আকাবাতে কংকর নিক্ষেপ করতে পারেন।
২০. প্রয়োজনে রাতে কংকর নিক্ষেপ করা:
নারীর অভিভাবক যদি মনে করেন জমরা আকাবার চতুর্দিকে খুব ভিড় হচ্ছে এবং এ অবস্থায় নারীদের নিয়ে কংকর নিক্ষেপ করতে যাওয়া আশংকাজনক সেক্ষেত্রে নারীরা দেরী করে রাতের বেলায় কংকর নিক্ষেপ করা জায়েয। যাতে ভিড় কমে যায় অথবা একেবারে ভিড় না থাকে। এই বিলম্বের কারণে তাদের উপর কোন কিছু আবশ্যক হবে না। একই বিধান তাশরিকের দিনগুলোতে কংকর নিক্ষেপের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। নারীরা আসরের পর জমরাগুলোতে কংকর নিক্ষেপ করতে পারেন। যদি এ সময়ের মধ্যেও কংকর নিক্ষেপ করতে না পারেন তাহলে রাতে কংকর নিক্ষেপ করতে কোন দোষ নেই।
২১. প্রয়োজনে কংকর নিক্ষেপের জন্য উকিল নিয়োগ করা:
প্রচন্ড ভীরের কারনে মহিলারা চাইলে নিজে কংকর নিক্ষেপ না করে তার মাহরামের মাধ্যমে কাজটি সমাধা করতে পারেন।
২২. চুলের আগা কর্তনকালে পর্দা রক্ষা:
চুলের আগা কর্তনকালে বেগানা পুরুষদেরকে চুল দেখানো নাজায়েয। অনেক নারী মারওয়া পাহাড়ের উপর এ কাজটি করে থাকেন। কারণ চুল সতরের অন্তর্ভুক্ত বেগানা পুরুষকে চুল দেখানো জায়েয নেই।
২৩. প্রয়োজনে বিদায়ী তাওয়াফে ছাড়:
বাড়ি ফেরার প্রাক্কালে কোনে নারী যদি হায়েয ও নিফাসগ্রস্ত হয়ে পড়েন তা হলে উক্ত নারীর জন্য আর বিদায়ী তাওয়াফ করতে হবে না। এটি নারীদের জন্য ইসলামী শরিয়ত ছাড় দিয়েছে।
২৪. মাকামে ইবরাহীমের পাশে নামায না পড়া:
মহিলাগণ তাওয়াফ শেষে ভীড়ের মধ্যে মাকামে ইব্রাহীমের পাশে নামাজ পড়বেন না, বরং মহিলাদের জন্য নামাযের নির্দিষ্ট স্থানে নামায আদায় করবেন।
২৫. এহরাম অবস্থায় মেহেদি ব্যবহারের অনুমোদন:
এহরামকারী মহিলা এহরাম অবস্থায় মেহেদি ব্যবহার করতে পারবেন, যা পুরুষের জন্য বৈধ না।
২৬. মাহরাম মারা যাওয়ায় হজের বাকি কাজ একাকি সম্পাদন:
হজের কর্মকাণ্ড শুরু করার পর যদি কোনো মহিলা হজযাত্রির মাহরাম মারা যায় তাহলে তিনি তার হজ এর বাকি কাজ মাহরাম ছাড়াই সম্পাদন করে নেবেন।
২৭. অলংকার ব্যবহারে অনুমোদন:
হজের মধ্যে মহিলাগণ অলঙ্কার ব্যবহার করতে পারবেন। তবে তা যেনো বাইরে পর পুরুষের জন্য প্রদর্শনমূলক না হয়।
২৮. সুগন্ধিবিহীন সৌন্দর্যমুলক দ্রব্য ব্যবহারের অনুমোদন:
সুগন্ধি নেই এমন সৌন্দর্যমূলক দ্যব্যাদি বা কসমেটিক মহিলাগণ হজে ব্যবহার পরতে পারবেন, তবে বাইরে নয়।
লেখক: সেক্রেটারি, হাজী কল্যাণ ফাউন্ডেশন, সিরাজগঞ্জ।