৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১১:২৯ এএম
দেশের প্রখ্যাত কবি ও প্রুফরিডার আব্দুল কুদ্দুস ফরিদী আর নেই। রোববার (৭ ডিসেম্বর) শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে নিজ বাড়িতে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও চার কন্যা সন্তান রেখে যান। কবি আব্দুল কুদ্দুস ফরিদীর ইন্তিকালে শোক প্রকাশ করেছেন দেশীয় সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি জনাব সাইফুল্লাহ মানছুর ও সেক্রেটারী ড. মনোয়ারুল ইসলাম। যৌথ এক শোকবার্তায় তারা বলেন, ‘দীর্ঘ সাহিত্যসেবা, নিখুঁত বানান জ্ঞান ও কবিত্বে সমৃদ্ধ ছিল তার জীবন। তাঁর বিদায়ে সাহিত্যাঙ্গন হারালো একজন উজ্জ্বল প্রতিভাধর মানুষকে। আমরা মহান আল্লাহ তা’য়ালার কাছে তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং জান্নাত কামনা করছি।’
ইসলামি সাহিত্য অঙ্গনে সুপরিচিত এই কবি দীর্ঘদিন দৈনিক নয়া দিগন্ত, মাসিক মদীনা ও মুসলিম জাহান–এ প্রুফরিডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দেশের নামকরা কবি-সাহিত্যিকদের সঙ্গে তাঁর নিবিড় সম্পর্ক থাকলেও দীর্ঘ জীবনজুড়েই অর্থনৈতিক টানাপোড়েন তাঁর সঙ্গী ছিল। শেষ সময়ে অসুস্থতা ও কষ্টের মধ্যেই তাঁকে নীরব-নিভৃতে দিন কাটাতে হয়েছে। লেখক ও সাংবাদিক সমর ইসলাম খোকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর মৃত্যুসংবাদ জানিয়ে লেখেন— “সাংবাদিকতার শুরুতেই তাঁর সঙ্গে পরিচয়। বহুদিন পাশাপাশি কাজ করেছি। চরম আর্থিক টানাপোড়েনের মধ্যেই কেটেছে তাঁর পুরো জীবন। স্ত্রী ও চার কন্যা রেখে নীরবে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করুন।”
কবি তাজ ইসলাম স্মৃতিচারণ করে জানান— প্রায় ১৭–১৮ বছর আগে রমনার পাশের চায়ের আসরে ফরিদীর সঙ্গে শেষ আড্ডা হয়েছিল। সেই আড্ডায় কবি আহমদ বাসির, আফসার নিজাম, মৃধা আলাউদ্দীন, নাজমুস সায়াদাতসহ অনেকে ছিলেন। তিনি আরও বলেন, মাসিক মদীনা-তে প্রকাশিত ফরিদীর ছন্দোবদ্ধ কবিতা তাঁকে অত্যন্ত আকৃষ্ট করত। ছন্দ ও বানানে দক্ষতার কারণে অনেকে তাঁকে ‘জীবন্ত ডিকশনারি’ বলতেন। আজীবন দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করা এই কবির পাশে সবাই দাঁড়াতে না পারার আক্ষেপও ব্যক্ত করেন তিনি। শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।