২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০৯:৩২ এএম
মহান ভাষা আন্দোলনের অকুতোভয় সৈনিক, প্রবীণ সাংবাদিক অধ্যাপক আবদুল গফুরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে জাতীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন দেশীয় সাংস্কৃতিক সংসদ। যৌথ এক শোকবানীতে দেশীয়র সভাপতি ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ ও সেক্রেটারী ড. মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলা ভাষার জন্য অসামান্য অবদান রেখেছেন অকুতোভয় সৈনিক আবদুল গফুর। সাংবাদিকতা পেশাকে বেছে নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করে গেছেন সব সময়। তার মৃত্যুতে দেশ একজন গুণীজনকে হারালো।’ নেতৃদ্বয় আল্লাহ রব্বুল আলামিনের কাছে আবদুল গফুরের রূহের মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারকে ধৈর্যধারণের তৌফিক কামনা করেছেন।
শুক্রবার দুপুর ২টা ৪৩ মিনিটে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে আবদুল গফুর ইন্তেকাল করেন। তার ছেলে সাংবাদিক তারেক আল বান্না বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আবদুল গফুর ১৯৪৫ সালে স্থানীয় মইজুদ্দিন হাই মাদরাসা থেকে মাধ্যমিক ও ১৯৪৭ সালে কবি নজরুল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। পরবর্তীকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ভর্তি হন। ভাষা আন্দোলন শুরু হলে আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে অংশ নেন তিনি। ১৯৬২ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
পেশাজীবনে এই ভাষা সৈনিক ১৯৫৯ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের দারুল উলুমের (ইসলামিক একাডেমি) সুপারিনটেনডেন্ট হিসেবে কাজ করেন। পরে এক বছর চট্টগ্রামে জেলা যুবকল্যাণ অফিসার হিসেবে কাজ করেন। ১৯৬৩ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ এবং ১৯৭২ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত আবুজর গিফারী কলেজে শিক্ষকতা করেন। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রকাশনা পরিচালক ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন দৈনিক ইনকিলাবের ফিচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ভাষা আন্দোলনে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৫ সালে তিনি একুশে পদক লাভ করেন।