৬ জুলাই, ২০২৪ ০৯:৩১ এএম
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সমাজসেবিকা ও কথাসাহিত্যিক আসমা আব্বাসীর ইন্তেকালে শোক প্রকাশ করেছেন দেশীয় সাংস্কৃতিক সংসদ-এর সভাপতি ড. আ.জ.ম ওবায়েদুল্লাহ ও সেক্রেটারি ড. মোস্তফা মনোয়ার। শুক্রবার (৫ জুলাই) বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও শিক্ষাক্ষেত্রে আসমা আব্বাসীর অবদান উল্লেখ করে তারা এক যৌথ শোক বিবৃতিতে বলেন, আসমা আব্বাসী একাধারে একজন লেখিকা, সমাজসেবিকা ও শিক্ষাবিদ। তাঁর মৃত্যুতে দেশ একজন গুণীজনকে হারালো। নেতৃদ্বয় আল্লাহ রব্বুল আলামিনের কাছে আসমা আব্বাসীর রূহের মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারকে ধৈর্যধারণের তৌফিক কামনা করেছেন।
গত ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে নিজ বাসায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
আসমা আব্বাসী কিংবদন্তি ভাওয়াইয়া গানের যুবরাজ শিল্পী মুস্তফা জামান আব্বাসীর সহধর্মিনী। ছোটবেলা থেকেই বই পড়ার প্রতি আগ্রহ ছিল আসমা আব্বাসীর। মামা সৈয়দ মুজতবা আলীর উৎসাহে জড়িয়ে পড়েন সাহিত্য চর্চায়। পেশা হিসেবে শিক্ষকতাকে বেছে নিলেও আসমা আব্বাসী পরিচিত হয়ে ওঠেন লেখক হিসেবে। রেডিও-টিভির আলোচক ও উপস্থাপক হিসেবেও পান ব্যাপক জনপ্রিয়তা।
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক আসমা আব্বাসী শ্রেষ্ঠ কলেজ শিক্ষক হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্বর্ণপদক পেয়েছেন। সম্পৃক্ত ছিলেন সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। সংগঠক হিসেবে বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। আসমা আব্বাসী স্বামী, দুই মেয়ে সামীরা আব্বাসী ও শারমিনি আব্বাসীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।