৩০ জুন, ২০২৪ ১২:০৯ পি এম
ধর্মীয় ও স্বজাতীয় মূল্যবোধহীন পাশ্চাত্য সাংস্কৃতি আজ জাতিকে গ্রাস করে রেখেছে, অসুস্থ অপসাংস্কৃতির প্রভাবে আমাদের পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র ধ্বংসের প্রায় কাছাকাছি, এই ধ্বংস থেকে জাতিকে উদ্ধার করা আমাদের ঈমানি দায়িত্ব। এজন্য প্রয়োজন একটি সামগ্রিক বিপ্লবের। এই বিপ্লব সাধনে এগিয়ে আসতে হবে সাংস্কৃতিক দায়িত্বশীলদের। কারণ সাংস্কৃতিক বিপ্লব ছাড়া আদর্শ সমাজ ও সভ্যতা নির্মাণ আদৌ সম্ভব নয়। চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমি (সিসিএ)'র উদ্যোগে আয়োজিত সাংস্কৃতিক দায়িত্বশীল সম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তারা।
গত ২৮ জুন (শুক্রবার) সকাল ৯টায় সিসিএ সভাপতি জনাব সেলিম জামানের সভাপতিত্বে চট্টগ্রামের একটি হলরুমে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সুস্থ ধারার সাংস্কৃতিক দায়িত্বশীলদের নিয়ে এই সম্মেলনের আয়োজন করে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমি সিসিএ।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জনাব শরিফ বায়েজিদ মাহমুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশীয় সাংস্কৃতিক সংসদের সেক্রেটারি বিশিষ্ট শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সংগঠক ড. মোস্তফা মনোয়ার। আরও উপস্থিত ছিলেন দেশীয় সাংস্কৃতিক সংসদের চট্টগ্রাম অঞ্চল তত্ত্বাবধায়ক জনাব রফিকুল হায়দার।
সম্মেলনে বক্তারা আরো বলেন, একটি আদর্শ সাংস্কৃতিক বিপ্লব সাধনে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন শ্রদ্ধেয় কবি মরহুম মতিউর রহমান মল্লিক। অপসংস্কৃতি উচ্ছেদে মল্লিক ছিলেন আপোষহীন সংগঠক। কবি মল্লিককে অনুসরণ করে আমাদের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড এগিয়ে নিতে হবে।
বক্তারা বর্তমান সময়ে মিডিয়ার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ফেইসবুক, ইউটিউব, আজ সাধারণ মানুষের মনের খোরাকে পরিণত হয়েছে। পাশ্চাত্যের অপসাংস্কৃতির আগ্রাসনে এগুলোকে শতভাগ ব্যবহার করা হচ্ছে। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়সহ সর্বত্র এগুলো বিনোদনের অনন্য মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। বক্তারা বলেন, মিডিয়াকে আমাদের নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার উপযোগী করতে হবে। এজন্য এসব বিষয়ে দক্ষতা অর্জনে সংস্কৃতি কর্মীদের চতুর্মুখী উদ্যোগ নিতে হবে। আই পি চ্যনেল প্রতিষ্ঠা ও সুস্থ বিনোদনমুলক কন্টেন্ট তৈরির মাধ্যমে সর্বত্র ইসলামি আদর্শকে তুলে ধরে মানুষের চিন্তা-চেতনায় পরিবর্তনের ঘটাতে হবে।
শিল্পী গোলাম মুস্তফার পরিচালনায় সম্মেলনে অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সিসিএ সেক্রেটারি মুহাম্মদ আব্দুল গফুর, সিসিএ নির্বাহী পরিষদ সদস্য মুবারক হোসেন, শিল্পী শাহিদুল করিম খান, মুহাম্মদ ঈমাম উদ্দিন ও মুহাম্মদ রহমতুল্লাহ প্রমুখ।