২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১৩:৩০ পি এম
পরিচয় সংস্কৃতি সংসদ রাজশাহী এর উদ্যোগে শিল্পী সাহিত্যিকের অংশগ্রহণে গান-কবিতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় একুশের সান্ধ্য প্রহর। 'একুশের সংস্কৃতি' শিরোনামে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন কবি-গবেষক ও পরিচয় সংস্কৃতি সংসদের সভাপতি প্রফেসর ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক আহমদ বশীর। বিশেষ অতিথি ছিলেন চিত্রশিল্পী মোমেন আল হায়দার। প্রধান আলোচক হিসেবে আলোচনা পেশ করেন সুরকার-শিল্পী গোলাম মাওলা। বিশেষ আলোকের বক্তব্য দেন গীতিকার-সুরকার, শিল্পী আবদুশ শাকুর তুহিন। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন কবি ও গবেষক ড. সায়ীদ ওয়াকিল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আহমদ বশীর বলেন, কথাসাহিত্যে গল্প বা উপন্যাসে যদি আঞ্চলিক ভাষা না থাকে অঞ্চলের মানুষের মুখের ভাষা না থাকে তাকে পড়ে প্রাণহীন মনে হয়। তিনি বলেন ২১ ফেব্রুয়ারিটা আমরা ঢাকার বাইরে মফস্বল শহরে কাটিয়ে আসছি অনেক কয়েক বছর হলো। তারই ধারাবাহিকতায় এবার রাজশাহী। রাজশাহীতে এসে পরিচয় সংস্কৃতি সংসদ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শব্দকলার কর্মসূচি আমাদের সত্যি মুগ্ধ করেছে। বাংলা ভাষা ও শেকড় সন্ধানী কাজের জন্য এই সংগঠনগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে শিল্পী ও সুরকার গোলাম মাওলা বলেন ফররুখ আহমদ আমাদের মাতৃভাষাকে সমৃদ্ধ করেছেন। অন্য ভাষার গান আমাদের ততোটা টানে না, যতোটা আকর্ষণ করে এ দেশের মাটি ও মানুষের গান।
বিশেষ বক্তা আমেরিকান ফুটবলার ওয়াল্টার ফেইল্টন এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন "যদি তুমি মূলকে ভুলে যাও তাহলে সব ভুলে যাবে।" তিনি বলেন, পরিচয় সংস্কৃতি সংসদ আমাদের সেই মূলের দিকে টানে। রৌদ্রলিপি সম্পাদক গল্পকার মনির বেলাল লেখকদের বিশ্বাসের ভিত্তিকে মজবুত করে সত্যিকার মাটি মানুষের লেখক হবার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর মাহফুজুর রহমান আখন্দ বলেন সুস্থ সাংস্কৃতির বিকাশই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। একুশের সংস্কৃতি অধিকার আদায়ের শিক্ষা দেয়। মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে আনাই একুশের সংস্কৃতি। পরিচয় সংস্কৃতি সংসদ সেই অধিকার আদায়ের কাজটিই করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত হয়ে ভাষার স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন কবি এরফান আলী এনাফ, কবি মঞ্জিলা শরীফ, কবি সাবের রাহী, কবি আব্দুর রাজ্জাক রিপন, কবি অভি মন্ডল, কবি সালেকুর রহমান সম্রাট, অর্কেস্ট্রা সম্পাদক লিটন হালিম, কবি দোদায়েভ তানিম, কবি বিকাশ রায়, নির্ঝর নির্বাহী সম্পাদক মেশকাত হাসান প্রমুখ। একুশের গান পরিবেশন করেন শিল্পী-সুরকার ইউসুফ বকুল, শিল্পী-সুরকার শোয়েব আলী, শিল্পী দেওয়ান রাশেদুল প্রমুখ।