২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৭:১৫ পি এম
চলচ্চিত্রের ফ্রেমেও তিনি যেমন নায়ক, বাস্তব জীবনেও তিনি একজন নায়ক। তার হাত ধরেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলন। সামাজিক নাটক ও চলচ্চিত্র অঙ্গনেও তিনি অগ্রনী ভুমিকা রেখেছেন। বলছি খ্যাতিমান অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চনের কথা। আজ এই গুণী অভিনয় শিল্পীর ৬৭তম জন্মদিন।
১৯৫৬ সালের ২৪ ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার আশুতিয়াপাড়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক নাম ইদ্রিস আলী। বাবা হাজী আব্দুল আলী। মা সরুফা খাতুন।
শিক্ষাজীবনে ইলিয়াস কাঞ্চন ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে কবি নজরুল সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেন। কৈশোর বয়স থেকেই অভিনয়ের প্রতি দুর্বলতা ছিল তার। তাই যুক্ত হয়েছিলেন বেশ কিছু নাট্য সংগঠনের সঙ্গে। নানা পথ পেরিয়ে প্রবাদপ্রতিম নির্মাতা সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘বসুন্ধরা’ চলচ্চিত্রে ববিতার বিপরীতে নায়ক হন ইলিয়াস কাঞ্চন। এখন পর্যন্ত তিনি ৩৫০-এর বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
১৯৯৩ সালের ২২ অক্টোবর সড়ক দুর্ঘটনায় তার স্ত্রী মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে এ দিনটিকে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৫ সালের ৪ মে জাতিসংঘের রোড সেফটি ফর আওয়ার চিলড্রেন কর্মসূচিতে অংশ নেন ইলিয়াস কাঞ্চন। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখায় ২০১৮ সালে তিনি একুশে পদক লাভ করেন।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এ শিল্পী এক সময় চলচ্চিত্রে অশ্লীলতার কারণে অভিনয় থেকে সরে যেতে থাকেন। কাজ শুরু করেন সুস্থধারার সংস্কৃতির সাথে। সংস্কৃতিতে তিনি ইসলামী নাটক ও চলচ্চিত্র নির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
সুস্থ সংস্কৃতিতে স্বনামধন্য এই অভিনেতার অবদানগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো-
১. হাজী শরিয়ত উল্লাহ (সিনেমা) ২. কুরআনের জবানবন্দি, ৩. ইসলামী হুকুমাত, ৪. জান্নাতের মানচিত্র, ৫. কুরআনের ফরিয়াদ, ৬. হে প্রশান্ত আত্মা, ৭. দরবেশ।
এছাড়াও তিনি বেশ কয়েকটি ইসলামিক শো’তে উপস্থাপনা করেন। উল্লেখিত ইসলামী নাটকগুলোর মধ্যে অধিকাংশই রচনা ও পরিচালনা করেছেন প্রয়াত নাট্যকার শাহ আলম নূর।
ইলিয়াস কাঞ্চন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান সভাপতি। এই গুণী শিল্পীর জন্মদিনে কালচারাল টাইমসের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা।