জাতীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘দেশীয় সাংস্কৃতিক সংসদ’র ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক উৎসব-২০২৫ আয়োজন করে। গত ১৮ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার, বিকেল ৪টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তন, রমনা, ঢাকায় অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে দেশ-বরেণ্য গুণী সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক সংগঠক, শিল্পী অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সাংস্কৃতিক উৎসবে দেশের জনপ্রিয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের মনোজ্ঞ পরিবেশনায় ছিল গান, আবৃত্তি ও কৌতুক অভিনয়। থিয়েটার শিল্পীদের পরিবেশনায় নাটক ‘৩৬ জুলাই’ প্রদর্শিত হয়। জনাব আহসান হাবীব খানের সঞ্চালনায় ক্বারী আব্দুল আলীম আশিকের কণ্ঠে কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে দেশীয়’র ৮ম বর্ষপূর্তি স্মারকের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। 

দেশীয়’র ৮ম বর্ষপূর্তি স্মারকের মোড়ক উন্মোচন করছেন আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। ছবি: কালচারাল টাইমস।

উক্ত সাংস্কৃতিক উৎসবে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দেশীয়’র সেক্রেটারী ড. মনোয়ারুল ইসলাম। সভাপতির বক্তব্য প্রদান করেন দেশীয়’র সভাপতি ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ। উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমকালীন বাংলা সাহিত্যের প্রধান কবি আল মুজাহিদী, গীতিকার-সুরকার ওস্তাদ তাফাজ্জল হোসেন খান, কবি মোশাররফ হোসেন খান, অধ্যাপক মাজহারুল হান্নান, বাংলাদেশ চারুশিল্পী পরিষদের সভাপতি ইব্রাহীম মণ্ডল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ, কবি জাকির আবু জাফর, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার চারুকলার সভাপতি অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান, কবি নাসির হেলাল, বাংলাদেশ কালচারাল একাডেমির সভাপতি আবেদুর রহমান, সেক্রেটারী ইবরাহীম বাহারী, কবি আমিনুল ইসলাম প্রমুখ। 
উৎসবে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন সুরকার ও শিল্পী সাইফুল্লাহ মানছুর, শিল্পী মশিউর রহমান, শিল্পী আমিরুল মোমেনীন মানিক, শিল্পী বেলাল খান, শিল্পী ওবায়েদুল্লাহ তারেক, শিল্পী রোকনুজ্জামান, শিল্পী নাসির উদ্দীন আল্-মামুন, কিশোর-শিল্পী জাহিন ইকবাল। 

আবৃত্তি শিল্পী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিডস ক্রিয়েশন টিভির সিইও শরীফ বায়জীদ মাহমুদ ও মোস্তাগিছুর রহমান মোস্তাক। সাইমুম, মহানগর, রাজধানী, সিসিএ, রঙ্গন, অনুপম, উচ্চারণ, জাগরণ, প্রেরণা, জিনজিরা ও কাশফুল শিল্পীগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করে।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও নাট্য সংসদের পরিবেশনায়, শফিকুল ইসলাম রুবেলের রচনা এবং নাট্যকার এ বি এম নোমানের নির্দেশনায় জুলাই বিপ্লবের ওপর নাটক ‘৩৬ জুলাই’ পরিবেশিত হয়। আমন্ত্রিত শিল্পীদের বহুমুখী পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক সংগঠক ও সংস্কৃতিপ্রেমীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়।